অর্জুন উদ্ভিদের সাধারণ গুণ ও ব্যবহার। BANGLA HEALTH TIPS ARJUN TREES BENEFITS ON HEALTH IN BENGALI.
অর্জুন উদ্ভিদের বর্ণনা :
অর্জুন বৃহদাকৃতির বৃক্ষ । এটি ৫০/৬০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। এর পাতা সরল , উপ - পত্রহীন , সংক্ষিপ্ত বৃত্তক , প্রতিমুখ - তির্যকাপন্ন , ইলিপ্টিক অবলং , কিনার অখণ্ড মসৃণ , শিরাবিন্যাস জালিকা, মঞ্জরী কাক্ষিত ও শীর্ষক , শাখান্বিত , রেসিম , পুষ্প ছোট, পাপড়ি নেই , পুংকেশর ১০ টি। ফল কামরাঙ্গার ন্যায় ৫ টি খাঁজ ও রিজ যুক্ত।
সাধারণ গুণ :
অর্জুন কষায়রস , শীতল , বলকারক , উষ্ণবীর্য , ব্রণ , পিত্ত ও তৃষ্ণানাশক , হজমকারক আয়ুবর্ধক , জ্বরনাশক , ধারক , মূত্রপাথরী সারক , লালা নিঃসারক এবং ক্ষতসারক ।
ব্যবহার্য অংশ :
প্রধানত ছাল ( পরিণত গাছের ) , তবে পাতা এবং ফলও ব্যবহৃত হয় ।
ব্যবহার :
আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রকার হৃদ্রোগে অর্জুন ছাল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় । অর্জুন নামে পেটেন্ট ওষুধও বাজারে পাওয়া যায় ।
অর্জুন ছাল ভালভাবে পিষে চিনি ও গরুর দুধের সাথে প্রতিদিন সকালে বছর কাল খেলে যাবতীয় হৃদরোগ সেরে যায় বলে দাবি করা হয় ।
কারো কারো মতে হৃদরোগের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে অর্জন ছাল ব্যবহার করতে হবে ; পদ্ধতিটি হল , দেড় পোয়া পানি , আধপোয়া গরুর দুধ এবং দুই তোলা অর্জুন ছালের গুঁড়া একত্রে জ্বাল দিয়ে আধ পোয়া পরিমাণু থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিতে হবে । ছেঁকে নেওয়ার ফলে যে ক্বাথ তৈরি হয় তা হৃদরোগে সেবন করা হয় ।
সাধারণত সকালে খালি পেটেই অর্জুন কাথ খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । একভাগ অর্জুন ছাল ১০ ভাগ পানিতে জ্বাল দিয়ে যে ক্বাথ তৈরি হয় তা আধা আউন্স মাত্রায় খেলে রক্ত অর্শ , উদরাময় ও রক্ত আমাশয় সেরে যায় ।
আধ ছটাক অর্জুন ছাল আধসের পানিতে জ্বাল দিয়ে আধ পোয়া থাকতে নামিয়ে নিয়ে ভালভাবে ছাঁকতে হবে । ছাঁকার পর যে ক্বাথ পাওয়া যাবে তা প্রতিদিন সকালে সপ্তাহ কাল খেলে হৃদরোগ ও রক্তপিত্ত রোগ সেরে যায় ।
হৃদরোগের জন্য ক্বাথ এর পরিবর্তে দুধ ও চিনির সাথে ১০-৩০গ্রেন মাত্রায় অর্জুন ছালের মিহি গুঁড়ো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় ।
উপরোক্ত নিয়মে খেলে লো - ব্লাডপ্রেসারেও এটি ভাল কাজ করে থাকে ।
কোন স্থানে হাড় ভেঙে গেলে সমপরিমাণ অর্জুন ছাল ও রসুন বেটে উক্ত স্থানে প্লাস্টার করলে ভাঙা হাড় জোড়া লেগে যায় ।
সন্ধি - হাড় ভেঙে গেলে দুধ ও ঘি - এর সাথে অর্জুন ছালের গুঁড়া খেলেও ভাল উপকার পাওয়া যায় ।
অর্জুন ছালের গুঁড়ো দুধের সাথে খেলে আঘাতজনিত ব্যথা আরাম হয় ।
অর্জুন ছাল মধুর সাথে পিষে প্রলেপ দিলে মেচেতা রোগ সেরে যায় ।
কোন কারণে মূত্র অবরোধ হলে অর্জুন ছালের ক্বাথ পান করলে মূত্র অবরোধ সেরে যায় ।
বাসক পাতার রস ও মধুর সাথে অর্জুন ছালের গুঁড়া খেলে ক্ষয়কাস সেরে যায় ।
অর্জুনের টাটকা পাতার রস কানে দিলে কান ব্যথা আরাম হয় ।
অর্জনে অর্জুনিন , অর্জুনেটিন প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থ আছে ।
Note : আমরা উক্ত বিষয়টি শুধু মাত্র শিক্ষার জন্য। আপনার যদি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার এর কাছে পরামর্শ নিন।