অনন্তমূল গাছের উপকারিতা।Anantamul Tree benefits for human health

অনন্তমূল গাছের উপকারিতা ।Anantamul Tree benefits for human health.


নাম : বাংলায় - অন্তমূল, হিন্দী : অনন্তমূল; শুদ্ধ : শারিবা ।


পরিচয় : অনন্তমূল দু'প্রকার। যথা- (ক) শুরু শারিবা ও (খ) কৃষ্ণ শারিবা। উভয় লতা গাছের মূল মাটির নিচে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। কৃষ্ণ শারিবা জাম' পাতার মত ; কিন্তু ইহা সুগন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। শুক্লবর্ণের শারিবা ৫ ফুট হতে ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। শ্বেত শারিবার পাতাও জাম পাতার মত । এ লতার ভিতরে দুধের মত এক প্রকার পদার্থ থাকে ।


ব্যবহার : ঔষধ প্রস্তুত করার জন্য শুধুমাত্র মূলেরই ব্যবহার হয়ে থাকে পাতা বা ফুল নয় । দুই প্রকার শারিবার মূলই সমগুণ সম্পন্ন । পরিমাণ : মূলচূর্ণ ২০ গ্রাম ; মূলের ক্বাথ ১০০ গ্রাম ।


গুণ : ইহা স্নিগ্ধ, সুস্বাদু, শুক্রবৃদ্ধিকারক, রসায়ন, গুণবিশিষ্ট, বৃষ্য, গুরু, মূত্রকারক ও বলবর্ধক।


আময়িক প্রয়োগ : অগ্নিমান্দ্য, আমাশয়, অতিসার, অরুচি, শ্বাস, কাশ, বিষরোগ, জ্বরাতিসার, উপদংশজনিত বিবিধ বিষদোষ, রক্ত প্রদর, আমবাত, বাতরক্ত , পারদ সেবনজনিত নানাবিধ রোগ বিনাশক।


অনন্তমূল যে সব রোগ আরোগ্য কারক -


১। খোস,পাঁচড়া, ব্রণ প্রভৃতি চর্মরোগ : অনন্তমূলের ক্বাথ সেবন এবং তার ক্বাথ দ্বারা দূষিত স্থান ধৌত করলে কয়েক দিনের মধ্যেই চর্মরোগ নিবারিত হয়ে থাকে।

২। পাথুরি রোগ : গরুর দুধসহ অনন্তমূল পেষণপূর্বক সেবন করলে পাথুরি রোগ আরোগ্য লাভ হয় বা উপকার পাওয়া যায়।

৩। উপদংশ বা উপদংশজনিত ক্ষত সৃষ্টি হলে তা আরোগ্য : অনন্তমূল গরম পানিতে সিদ্ধ করে তার ক্বাথে ক্ষতস্থান ধৌত করলে বা পূরণ করলে উপদংশজনিত ক্ষত আরোগ্য হয়ে থাকে।

৪। ফোঁড়া নির্মূল : অনন্তমূল পেষণপূর্বক কিঞ্চিৎ মধুসহ প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে এবং ফেটে যায় ।

৫। বাতরক্ত সঞ্চিত হলে : অনন্তমূলের ক্বাথ সেবনে উপকার পাওয়া যায় ।

৬। জিহ্বায় ক্ষত সৃষ্টি হলে :অনন্তমূল মেষদুগ্ধসহ পেষণ পূর্বক লেহন করলে জিহ্বাক্ষত সত্বর আরোগ্য হয় ।

৭। শ্বাস রোগ অথবা কাশি রোগ উপশোম : অনন্তমূল পেষণপূর্বক পানিসহ সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

৮। হজমের গণ্ডগোল হলে : অনন্তমূলের ক্বাথ সেবন করলে পরিপাকশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং অগ্নি প্রদীপ্ত হয় অর্থাৎ ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।

৯ । অরুচি হলে : অনন্তমূলের ক্বাথ মধুসহ সেবন করলে অরুচি দূর হয়।

১০ । আমাশয় : অনন্তমূল পেষণপূর্বক সেবন করলে আমাশয় নিবারিত হয় ।

১১। মূত্র রোগ : অনন্তমূল মুত্রকারক বিধায় অনন্তমূলের ক্বাথ প্রস্রাবের গণ্ডগোল বা মুত্ররোগে অত্যন্ত উপকারী।

১২। আমবাত হলে : অনন্তমূলের ক্বাথ গাত্রে লেপন ও সেবন করলে আরোগ্য লাভ হয়।

১৩। নারীর স্তনে দুধ কম হলে : অনন্তমূলের ক্বাথ সেবন করলে স্তনে দুধ বেড়ে যায়।

১৪। পারদ সেবনজনিত কারণে রক্ত দুষ্ট হলে : অনন্তমূলের পাচন সেবন করলে বিষদোষ নষ্ট হয়ে যায় এবং রক্ত পরিষ্কার হয়।

১৫। রক্ত প্রদর হলে : অনন্তমূল মধুসহ পেষণপূর্বক সেবন করলে রোগ আরোগ্য হয়।

১৬। ইন্দ্রিয় শক্তি বা রতিশক্তি হ্রাস পেলে : অনন্তমূল মধুসহ পেষণ পূর্বক নিয়মিতভাবে একমাস কাল সেবন করলে নিশ্চয়ই সূফল লাভ হয়ে থাকে ।

TELL US IF YOU HAVE ANY QUERIES.

Previous Post Next Post

Contact Form