সিকেডি ( Chronic Kidney Disorder ) কি ? What is Chronic Kidney Disorder in Bengali - Bengali health tips on kidney

সিকেডি ( Chronic Kidney Disorder ) কি ? 


Chronic Kidney Disease ( CKD ) -এ আক্রান্ত রোগীদের , কিডনী তার প্রধান কাজ রক্ত থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ পরিশোধনে ব্যর্থ হয় । এর ফলে রোগের তীব্রতা অনুযায়ী সাধারণ মাত্রার পানি পান এবং লবন ও পটাশিয়াম গ্রহণ করা সত্ত্বেও শরীরে লবণ ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে না । ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির উপর চাপ কমানোর জন্য ও শরীরের লবণ বা আয়নের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ক্রোনিক কিডনি ডিজিজের ( CKD ) রোগীদের খাদ্য তালিকায় খাদ্য ও পানীয় গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হয়। সিকেডি রোগীদের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা নেই । ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাদ্য তালিকা রয়েছে । রোগীর কিডনির অবস্থান , কিডনি ফেলিওর এর স্টেজ ও অন্যান্য সমস্যার উপর নির্ভর করে ব্যক্তিভেদে আলাদা আলাদা পরামর্শ দেয়া হয় ।


CKD (Chronic Kidney Disorder) রোগীদের ৫টি স্তরে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে -

• ১ম-৩য় স্তরের রোগীদের বিশেষ ডায়েটের অন্তর্ভুক্ত,

• ৪র্থ-৫ম স্তরের রোগীদের চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা হয়। 

বিশেষত ৫ম স্তরের রোগীদের ডায়ালাইসিস ও কিডনী প্রতিস্থাপনের শরণাপন্নও হতে হয়।


CKD রোগীদের ডায়েটের ক্ষেত্রে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়। 

• ১ম-৩য় স্তরের রোগীদের ডায়েটে রোগীর দৈহিক প্রতি কেজি ওজনের ১ গ্রাম প্রোটিন (ব্যক্তি ৬০কেজি হলে তাকে সারাদিনে ৬০গ্রাম প্রোটিন) গ্রহণ করবে।

• ৪র্থ-৫ম স্তরের রোগীদের দৈহিক প্রতি কেজি ওজনের ৮০% গ্রাম প্রোটিন (৬০ কেজি ওজনের ব্যক্তি সারাদিনে ৪৫-৫০গ্রাম) সমৃদ্ধ খাবার খাবে।


একজন ব্যক্তি ১ম স্তরের Chronic Kidney Disorder এ আক্রান্ত হলে তার কোনো বাহ্যিক লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ২য় স্তর থেকে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। তাই নিজের দৈহিক সুস্থতার জন্য প্রতি বছর সম্পূর্ণ দেহ পরীক্ষা করা আবশ্যক।



তথ্য সংগ্ৰহ- সুমাইয়া সুলতানা তামিম

TELL US IF YOU HAVE ANY QUERIES.

Previous Post Next Post

Contact Form